সিলেটের প্রধান দুই নদী সুরমা ও কুশিয়ারার চারটি পয়েন্টে এখনো পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে এ দুটি নদীসহ জেলার প্রতিটি নদ-নদীর পানি ধীরে ধীরে কমছে। এতে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ প্রথম আলোকে বলেন, ‘সীমান্তের ওপারে ভারতে বৃষ্টিপাত কমায় পাহাড়ি ঢল কমেছে। স্বাভাবিক কারণেই আমাদের এখানেও পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। ধীরে ধীরে পানি নেমে যাবে। তাই নতুন করে পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই।’
পাউবো সূত্রে জানা গেছে, আজ শুক্রবার সকাল নয়টা পর্যন্ত সিলেটের সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে এবং কুশিয়ারা নদীর অমলশিদ, শেওলা ও ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে। কানাইঘাট পয়েন্টে পানি ১৩ দশমিক ২৬ মিটারে অবস্থান করছিল, যা বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ৫১ মিটার ওপরে। অমলশিদ পয়েন্টে ১৬ দশমিক ১৭ মিটারে অবস্থান করছিল, যা বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ৭৭ মিটার ওপরে। শেওলা পয়েন্টে ১৩ দশমিক ২৪ মিটারে অবস্থান করছিল, যা বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ১৯ মিটার ওপরে। ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে ১০ দশমিক ১৭ মিটারে অবস্থান করছিল, যা বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ৭২ মিটার ওপরে। এ চারটি পয়েন্টেই গতকালের চেয়ে আজ পানি কমেছে। সুরমা ও কুশিয়ারা নদী ছাড়াও জেলার ধলাই, লোভা, সারি, ডাউকি ও সারি-গোয়াইন নদ-নদীর পানি গতকালের চেয়ে আজ কিছুটা কমেছে।
স্থানীয় প্রশাসন ও এলাকার বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, জেলার জকিগঞ্জ, বিয়ানীবাজার, ওসমানীনগর ও গোলাপগঞ্জ উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। অন্যদিকে ২৯ মে থেকে গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, ফেঞ্চুগঞ্জ, কানাইঘাট, জৈন্তাপুর ও বালাগঞ্জ উপজেলার নিম্নাঞ্চলের মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। এসব উপজেলার বেশ কিছু গ্রামীণ রাস্তাও তলিয়ে যাওয়ায় মানুষজন দুর্ভোগে আছেন।
এদিকে সিলেট আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ছয়টা থেকে আজ শুক্রবার সকাল ছয়টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় সিলেটে ৪ দশমিক ৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এ ছাড়া আজ সকাল ছয়টা থেকে নয়টা পর্যন্ত ২১ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।